z

কাঁচামাল প্রস্তুত করছে ন্যাশনাল ফিড

শেয়ার মার্কেট বিডি

ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে অর্থ নিয়েছিল নতুন ফ্লোটিং মেশিন বসিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। পরবর্তীতে আইপিও তহবিল ব্যবহারের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে কোম্পানিটি। এর অংশ হিসেবে সক্ষমতা সম্প্রসারণে না গিয়ে কাঁচামাল প্রস্তুতির যন্ত্রপাতি কেনা হয়।

বর্তমানে সেখানে সয়াবিন বীজ থেকে কাঁচামাল তৈরি করা হচ্ছে, যা একসময় তাদের কিনতে হতো। কোম্পানি আশা করছে, সামনে বাজার থেকে এ কাঁচামাল কিনতে হবে না তাদের। এতে কোম্পানির উৎপাদন খরচ কমবে। সয়াবিন বীজ থেকে প্রস্তুত পোলট্রি ফিডের কাঁচামালটি আমদানি করতে হয়, নয়তো অন্য কোনো কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে হয়। নিজেরা কাঁচামালটি তৈরি করতে পারলে কোম্পানির খরচ কমবে এবং মুনাফার মার্জিন বাড়বে। এ কারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড আইপিও তহবিল ব্যবহার পরিকল্পনায় পরিবর্তনের অনুমতি চাই এবং তা গৃহীত হয়।

২০১৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা আইপিওর অর্থ ব্যবহারের পরিবর্তিত পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। এর পর আমরা বিএসইসির (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) কাছে আবেদন করি। নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনক্রমে পরিবর্তিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর গত এপ্রিলে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে।

এ সময় কমিশনে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও (আইপিওর অর্থ ব্যবহার সম্পর্কিত) জমা দিয়েছি। সেখানে আইপিওর সমুদয় অর্থের হিসাব জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নতুন মেশিনসহ কোম্পানির সব ইউনিট উৎপাদনে আছে। নতুন মেশিনের সুবাদে সয়াবিন বীজ থেকে তৈরি কাঁচামালটি কিনতে হচ্ছে না আমাদের। আশা করছি, কোম্পানি এর আর্থিক সুফল পাবে।

গবাদিপশু, মাছ ও হাঁস-মুরগির খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি ২০১৪ সালের শেষ দিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) ১৮ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। আইপিওর অর্থে ব্যবসা সম্প্রসারণে ঘণ্টায় পাঁচ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ফ্লোটিং ইউনিট স্থাপন, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও চলতি মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল কোম্পানি। কিন্তু নতুন ফ্লোটিং মেশিন না বসানোয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়েনি। মুনাফা পরিস্থিতিও প্রায় অপরিবর্তিত।

জানা গেছে, ন্যাশনাল ফিডের তিনটি প্লান্ট রয়েছে। ঘণ্টায় সম্মিলিত উৎপাদনসক্ষমতা ১৮ টন। আইপিওর আগেও তা একই ছিল। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ২০১৩ সালে যা ছিল ৭ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এদিকে আইপিও তহবিলের ৭ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করলেও সুদের হার কমার বিপরীতে কোম্পানির মুনাফা বাড়েনি। জুন ক্লোজিংয়ের বাধ্যবাধকতায় এ বছর ১৮ মাসে হিসাব বছর গণনা করেছে ন্যাশনাল ফিড। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার টাকা। ২০১৫ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ৬ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

অভিহিত মূল্যে আইপিওতে আসা কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। রিজার্ভ ১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ২০ দশমিক ৩৪ ও বাকি ২৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

 

  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com
  • sharemarketbd.com

মুদ্রার হার

নামাজের সময়সূচি