z
দেশের দুই মোবাইলফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। এই অনুমোদনের ফলে একীভূত হওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া প্রায় সমাপ্ত হতে চললো। নির্ধারিত মাসুল ও ফি দিয়ে একীভূত হবে এ দুই অপারেটর। মঙ্গলবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, কমিশন বৈঠকে রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একীভূত হতে ছোটখাট কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি প্রধান বলেন, 'এ অনুমোদনের ফলে প্রায় সব প্রক্রিয়া শেষ হলো, নির্ধারিত মাসুল ও ফি দিয়ে একীভূত হবে এই দুই অপারেটর।'
তবে শর্তগুলোর বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার প্রস্তাব গত আগস্টে হাইকোর্টের অনুমোদন পায়। একীভূত হওয়ার পর এই কোম্পানি পরিণত হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে। রবি নামেই বাজারে ব্যবসা করবে দুটি প্রতিষ্ঠান।
রবি ও এয়ারটেলের ব্যবসা এক হলে একীভূত কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে চার কোটির বেশি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ।
২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে রবি।
এর আগে দুই অপারেটরের ব্যবসা একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর তা বিটিআরসিকে জানানো হয়। এ নিয়ে শুনানি করে বিটিআরসি কয়েকটি সুপারিশসহ মূল্যায়ন পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে।
সুপারিশে বলা হয়, এয়ারটেল তাদের থ্রি জি লাইসেন্সের মেয়াদ, অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে পারবে না।
এরপর গত ১৩ জুলাই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই কোম্পানির তরঙ্গ একীভূত করার ফি এবং মার্জার ফি বা মাশুল নির্ধারণ করা হয় ১০০ কোটি টাকা।
রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল; তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।
এশিয়ার বড় টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজিয়াটা অন্যতম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও তাদের ব্যবসা রয়েছে।