z
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর. এন. স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নির্দেশনা অনুযায়ী, আর এন স্পিনিং ও ফার কেমিক্যালের ফ্লোর প্রাইস (১, ২, ৫ ও ৬ নভেম্বর) এই ৪ দিনের সমাপনী (closing price) গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হবে। সেই হিসাবে আর. এন. স্পিনিং মিলসের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ২০ টাকা ৯০ পয়সা এবং ফার কেমিক্যালের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ২৮ টাকা ২০ পয়সা
বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের ধারা 20A দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে অধ্যাদেশ, 1969 (1996 সালের অধ্যাদেশ নং XVII), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এতদ্বারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং মিলস একীভূত হয়েছে সামিন ফুডের সঙ্গে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ফার কেমিকেলসের সঙ্গে একীভূত হয়েছে এস এফ টেক্সটাইল। আর.এন. স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই কোম্পানি দুটি অন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর তাদের পরিশোধিত মূলধন কমে গেছে। ফলে ফার কেমিক্যাল কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতি ৩টি শেয়ার পরিণত হয়েছে একটিতে। আরেকটি আর.এন. স্পিনিং কোম্পানির প্রতি ৫.৫৯টি শেয়ার পরিণত হয়েছে একটিতে।
শেয়ার কমে যাওয়ার পর দুটি কোম্পানিরই দাম সমন্বয় হয়েছে। পুঁজিবাজারে করপোরেট ঘোষণার পর বোনাস বা রাইট শেয়ার দিলে শেয়ার সংখ্যা যত বাড়ে, নতুন ফ্লোর প্রাইসও সেই হারে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই হিসাবে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় করে বাড়িয়ে না দেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা প্রচুর পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন; সেই ক্ষতি আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এমত:বস্থায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন নির্দেশনা দিয়েছে।