z
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে বিডিং সম্পন্ন করা নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই ওষুধ কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করছে। সারাদেশে ৪৮৬টি মানবদেহের ও ভেটেরিনারি ৪৮টি পণ্য বাজারজাত করা এ কোম্পানিটির সেফেলোস্পেরিন ইউনিটের সংস্কার, উৎপাদন ভবন নির্মাণে, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং নির্মাণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে এ টাকা সংগ্রহ করছে।
এ লক্ষ্যে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের বিডিং শুরু হয় ৪ জুলাই। ওই দিন বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া এই বিডিং শেষ হয় ৭ জুলাই বিকেল ৫টায়। বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করেন ৩৪ টাকা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের কাট-অফ প্রাইস থেকে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ইস্যু করা হবে। এছাড়া ফেয়ার ভ্যালু থেকে ২০ শতাংশ ওপরে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে ১৫ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করবে। যা দুই বছর লক-ইন থাকবে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নিজস্ব জমিতে ওষুধ উৎপাদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ১৯৮৬ সালে। ১৯৮৮ সালে সাধারণ উৎপাদন ইউনিট চালু করে কোম্পানিটি। ২০০৩ সালে ভেটেরিনারি প্রোডাকশন ইউনিট শুরু হয়। ২০০৯ সালে সেফালোস্পোরিন ইউনিট শুরু করা হয়, যা একটি উচ্চমানের সেফালোস্পেরিন সুবিধা নিশ্চিত করে এবং ২০১২ সালে এসভপিও ইউনিট শুরু করা হয়। আর ২০১৩ সালে পেনিসিলিন ইউনিটের নতুন সুবিধা শুরু করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে চার হাজারের বেশি জনবল রয়েছে।
শেয়ারবাজারে আসতে যাওয়া এ কোম্পানিটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। আর বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে (পুনর্মূল্যায়নসহ) ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এই সম্পদের পরিমাণ ১৯ টাকা ২ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস।