z
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ দুই হাজার ৭৫৬ কোটি (২৭.৫৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেশি এসেছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
এ পরিসংখ্যানে প্রকাশ, রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। টানা ছয় মাস ধরে বাড়ছে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ইতিবাচক হওয়ায় স্বস্তি এসেছে দেশের অর্থনীতিতে।
জানুয়ারি মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি অর্থ দেশে এসেছে।
৩০ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, মুদ্রানীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন যোগানো। সেই লক্ষ্য অর্জনে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ২ হাজার ৭৫৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের এই আট মাসে আয় হয়েছিল দুই হাজার ৪৩৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই- ফেব্রুয়ারি সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। অর্থাৎ ২৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারই এসেছে এ খাত থেকে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রপ্তানি আয়ের ওপর বরাবরই তৈরি পোশাক পণ্যের বড় ধরনের প্রভাব থাকে। পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে তাদের কারখানার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি রপ্তানি আয় বাড়াতে অবদান রেখেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি ফারুক হাসান।