z
করোনার প্রভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারেও ধাক্কা লেগেছে।
মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে, বাজেটে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলেও খরচ কমাতে অনেক গ্রাহক এখন কথা বলা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে সামনের সময়ে রাজস্বও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় অনেকেই এখন রিচার্জ করছেন না। এমনকি যাদের একাধিক সিমকার্ড ছিল তারা এখন একটি নম্বর রেখে অন্যগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে অব্যাহতভাবে কমছে মোবাইল ফোনের গ্রাহক।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ছিল ১৬ কোটি ৬১ লাখেরও বেশি। সেখানে মে মাসের শেষে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ১৫ লাখে। অর্থাত্ চার মাসে মোবাইল ফোনের গ্রাহক কমেছে ৪৬ লাখের মতো। আর মার্চে যেখানে ইন্টারনেটের গ্রাহক ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ। সেখানে মে মাসের শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ২১ লাখ।
শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোনের মোবাইল ফোনের গ্রাহক সবচেয়ে বেশি কমেছে। গত জানুয়ারি থেকেই গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমছে। জানুয়ারি মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ছিল প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। মে মাসের শেষে তাদের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৪৩ লাখ। অর্থাত্ পাঁচ মাসে তাদের গ্রাহক কমেছে ২২ লাখের মতো। এই পাঁচ মাসে দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর রবির গ্রাহক কমেছে ১৩ লাখের মতো। তবে সর্বশেষ চার মাসে রবির গ্রাহক কমেছে ১৬ লাখ। ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমলেও রবি গ্রাহক বেড়েছিল। আর এই পাঁচ মাসে বাংলালিংকের গ্রাহক কমেছে ৬ লাখের মতো।